বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৩ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী থেকে এম কে রানাঃ— সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানের সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হচ্ছে ধর্ষণ এবং হত্যা। প্রায় প্রতিদিনই গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ধরনের বিভিন্ন ঘটনা দেশবাসীর নজরে আসছে। দ্রুততম সময়ের মাঝে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন এবং জড়িতদের গ্রেফতারে র্যাব সবসময় জোরালো ভূমিকা পালন করে আসছে।
আরও পড়ুনঃ গাজীপুরে মা ও স্বামীর বিরুদ্ধে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ থানার আউলিয়াপুরে চিকিৎসার নামে কালাম মৃধা(৪২) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে ও পুকুরে ডুবিয়ে হত্যা করা হয় এবং ঘটনার পর থেকেই মূল আসামীসহ অন্য আসামী পলাতক ছিল। এ বিষয়ে র্যাব-৮ ছায়াতদন্ত শুরু করে। তদন্তের এক পর্যায়ে র্যাব-৮ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল জানতে পারে যে, ১নং আসামী রিয়াজউদ্দিন ফকির তার স্ত্রী মোছাঃ তাসলিমা আক্তার লাকী(৪২) ও ছেলে মোঃ তৗহিদুর রহমান(১৮) সহ বরিশালের রূপাতলী এলাকায় অবস্থান করছে। তারপর অভিযান পরিচালনা করে অদ্য ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ তারিখ সকাল ১১.৩০ ঘটিকার সময় রূপাতলী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেছে।
আরও পড়ুনঃ পটুয়াখালীতে ডাক্তাদের অবহেলায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যু দোষীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, কালাম মৃধার স্ত্রী শুক্রবারে সকালে দুই দেবরকে সাথে নিয়ে রিয়াজ ফকিরের বাড়ীতে যায়। রিয়াজ ফকির তাহার চাচাতো ভাই অসীম ফকির সহ ৪/৫ মিলে সকালে ও বিকালে কালাম মৃধাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে ও বাড়ীর পুকুরে চুবায়। এতে কালাম মৃধা অসুস্থ্ হয়ে পড়লে তাকে মাজার সংলগ্ন একটি রুমে রাখা হয়। কালাম মৃধা সন্ধ্যায় মারা যাওয়ার পর হত্যাকারীরা তাহার লাশ বাড়ীর পাশে বাগানে ফেলে রাখে। আসামীর দাদা মৃত ফকির আঃ রহমান মুন্সী@কালুসা দেওয়ান ১ম জীবনে মাদ্রাসার শিক্ষকতা করতেন এবং মুন্সী পদবী গ্রহণ করেন। পরবর্তীতে তিনি ফরিদপুরের দত্তপাড়ায় মোহনসা দেওয়ানের মুরিদ হয়ে এলাকায় এসে দরগাহ/খানকাহ খোলেন। তার মূত্যুর পর আসামীর চাচা সাম দেওয়ান উক্ত পীরদানী চালিয়ে যান এবং নাম দেন দেওয়ান মাজার যা বরিশালের কাউনিয়াতে অবস্থিত। সাম দেওয়ান মারা যাওয়ার পর তার ছেলে খোকন দেওয়ান পীরদানী চালু রাখেন। খোকন দেওয়ান মারা যাওয়ার পর ৪.৫ বছর ধরে বাকেরগঞ্জের আওলিয়াপুরে আসামী পীরদানী ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। মৃত কালাম মৃধা মানসিক রোগে ভুগছিলেন। গত ৩১ জানুয়ারি ২০২০ তারিখ শুক্রবারে কামালের চিকিৎসা শুরু করেন। চিকিৎসার নামে রোগীকে রিয়াজউদ্দিনের হুকুমে প্রচন্ড মারধোর করে এবং পুকুরে ঠান্ডা পানিতে ১০১ বার চুবায়। ফলে রোগী মারা যায়। আসামী ফকির ব্যবসার মাধ্যমে রোগীদের ভূয়া চিকিৎসা দেয় এবং তাদের কাছ থেকে টাকা, ছাগল, গরু, চাল,মুরগী ইত্যাদি জিনিস গ্রহণ করে থাকে।
আকটকৃত তিন জনই প্রাথমিক ভাবে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বাকেরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply